পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য

নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য সম্প্রতি একটি পোস্ট এসেছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে “পুরুষ ও নারীদের নামাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই”। পিস ইন ইসলামের প্রশ্ন-উত্তর বিভাগে এ বিষয়ে আমাদের একটি লেখা দিয়েছিলাম যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে “পুরুষ ও নারীদের নামাজের মধ্যে পার্থক্য আছে”। দুটো বিষয়ই উল্লেখ থাকল, পাঠকরা বিচার করবেন কোনটি সঠিক। উত্তরটি এখানে আমরা আবার পোস্ট আকারে দিলাম:– মেয়েরা পুরুষদের মত সালাত আদায় করবে আহলে হাদীসের অনুসারীগন এই মতের পতিনিধিত্ব করেন। এখান থেকে একটি প্রশ্নের জন্ম নেয় তাহলে কি এমতের অনুসারীগন ছাড়া বাকী সবাই যুগ যুগ ধরে ভূল করেছেন ? সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈ, তাবে তাবেঈ,আইম্মায়ে কিরাম সহ কেউ কি এবিষয়টি অনুধাবন করেন নি ? প্রকৃত কথা হচ্ছে হক্ব বাতিলের সংঘাত চিরন্তন -অন্যথায় রাসুল (সঃ) এর স্বর্ণ যুগে তারকারাজীর ন্যায় উজ্জ্বল আদর্শবান সাহাবায়ে-কিরাম, তাবেঈ,তাবে তাবেঈ থেকে শত শত বছরের গবেষক, বিচক্ষণ ইমামদের সর্ব স্বীকৃত কোরআন ও হাদীসের আলোকে নারীদের সালাত পদ্ধতিকে ইদানিং জন্ম নেয়া একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দল কিভাবে পশ্ন বিদ্ধ করতে...

মাযহাব কি এবং কেন?

মাযহাব কি এবং কেন? মাযহাব কি রাসূল,সাহাবী এবং তাবেঈ কারো মানার দলীল আছে? কুরআন ও হাদীস দেখে আমল করলে অসুবিধা কোথায়? মুহাদ্দিসগন কি মাযহাব মেনেছেন? আমরা কেন চারটি মাযহাব থেকে বেছে বেছে মাসআলা আমল করতে পারব না? কেন একটি মাযহাবই মানতে হবে? মাযহাব কি মুজতাহিদ হল কুরআন সুন্নাহ, সাহাবাদের ফাতওয়া, কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের ঐক্যমত্বে এবং যুক্তির নিরিখে কুরআন সুন্নাহ থেকে মাসআলা বেরকারী গবেষক দলের নাম। যারা নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন মূলনীতি নির্ধারণ করে কুরআন সুন্নাহর বাহ্যিক বিপরীতমুখী মাসআলার মাঝে সামাঞ্জস্যতা এনেছেন। কুরআন সুন্নাহর একাধিক অর্থবোধক শব্দের নির্ধারিত পালনীয় অর্থকে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। নতুন উদ্ভূত মাসআলার শরয়ী মূলনীতির আলোকে সমাধান বরে করেছেন। সেই সাথে নতুন নতুন মাসআলার কোন মূলনীতির আলোকে হুকুম আরোপিত হবে যার বিধান সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নেই, সেই মূলনীতিও নির্ধারিত করেছেন। মূলত সেই গবেষক দলের নাম হল মুজতাহিদ। আর তাদের উদ্ভাবিত মূলনীতির আলোকে বের হওয়া মাসআলার নাম মাযহাব। এবং কেন? মাযহাব পালনের কথা এই জন্য বলা হয় যে, যেহেতু কুরআন সুন্ন...

ফিকহে হানাফীঃ কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ।

ফিকহে হানাফীঃ কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য । জীবনের অঙ্গন অতি বিস্তৃত এবং অতি বৈচিত্রময়। ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ দ্বীন তাই তা জীবনের সকল বৈচিত্রকে ধারণ করে। জীবনের সকল বিভাগ তাতে নিখুঁতভাবে সন্নিবেশিত। ইসলামী জীবন-দর্শনের পরিভাষায় মানব-জীবনের মৌলিক বিভাগগুলো নিম্নোক্ত শিরোনামে শ্রেণীবদ্ধ হয়েছে : ১. আকাইদ (বিশ্বাস), ২. ইবাদাত (বন্দেগী ও উপাসনা), ৩. মুআমালাত (লেনদেন), ৪. মুআশারাত ( পারিবারিক ও সামাজিক নীতি এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা) ও ৫. আখলাক (চরিত্র, আচরণ ও নৈতিকতা)। বলাবাহুল্য যে, প্রতিটি বিষয়ের অধীনে প্রচুরসংখ্যক মৌলিক শিরোনাম ছাড়াও রয়েছে প্রাসঙ্গিক বহু বিষয়। আমাদের সামনে হাদীস ও ফিকহের বহু বিষয়ভিত্তিক সংকলন বিদ্যমান রয়েছে। এসব গ্রন্থের সূচিপত্রে নজর বুলালে উপরোক্ত প্রতিটি বিষয়ের ব্যাপকতা অনুমান করা যাবে। ইসলামের অনন্য বৈশিষ্ট্য এই যে, তার মৌলিক দুই সূত্র-কুরআন ও সুন্নাহ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। পূর্ণ কুরআন মজীদ এবং হাদীস ও সুন্নাহ্‌র উল্লেখযোগ্য অংশ ‘তাওয়াতুরে’র মাধ্যমে এসেছে। হাদীস ও সুন্নাহর অপর অংশটিও এসেছে ‘রেওয়ায়েত’ ও ‘আমলে’র নির্ভরযোগ্য সূত্রে। হাদীসের মৌলিক গ্রন্থসমূহে প্র...

দ্বীনের খেদমতের অন্তরালে ওরা আসলে কী করছে?

দ্বীনের খেদমতের অন্তরালে ওরা আসলে কী করছে? ইংরেজদের শাসনভার এই উপমহাদেশে সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসার আগে এদেশগুলোতে কোন ধর্মীয় কোন্দল ছিল না। ছিল মুসলমানদের মাঝে পারস্পরিক সম্প্রীতি। শ্রদ্ধা-ভক্তির এক অনুপম দৃষ্টান্ত। বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ করার অপূর্ব উপমা ছিল মুসলমানরা। যেই নজরকাড়া আদর্শ দেখে দলে দলে হিন্দু-বৌদ্ধরা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় ভীর জমায়। ধর্মীয় কোন্দলের কেউ কল্পনাই করতো না। এক আলেম আরেক আলেমকে গালি দিবে, মসজিদে একদল মুসলিম আরেক দল মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাবে দেদার, এটা ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। সবাই ছিল ফিক্বহে হানাফীর বিশ্ব নন্দিত কুরআন সুন্নাহর মাকবুল ব্যাখ্যার একনিষ্ট অনুসারী। ইংরেজ পশুরা মুসলমানদের এই অনুপম ভ্রাতৃত্বকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র শুরু করল। দাঁড় করিয়ে দিল বেরেলবীর মাধ্যমে একদল মাজারপূজারী, পীরপূজারী ফিরক্বা। অপরদিকে কাদিয়ানী ফিরক্বা। সেই সাথে শত বছরের কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক গোটা পৃথিবীতে সমাদৃত ঐতিহ্যিক মাযহাব হানাফী মাযহাবকে কলুষিত করতে নামিয়ে দিল মুহাম্মদ হোসাইন বাটালবীকে। বেদআতিরা শুরু করে দিল কুরআন সু্ন্নাহ রেখে শুধ...

কুরআন-সুন্নাহ বনাম মাযহাব

কুরআন-সুন্নাহ বনাম মাযহাব : একটি সরল মূল্যায়ন আসলেও কি মাযহাব কোর’আন ও সুন্নাহ্‌ বিরুধী? যারা মাযহাব মানে তারা সহ্‌হী হাদিস মানে না” এই ধারনা কি ঠিক? যারা মাযহাব কে বিতর্কিত করে কোর’আন ও সুন্নাহর মুখোমুখি দাড় করিয়েছে তাদের কথা কতটুকু ঠিক? আসুন উপরুক্ত প্রশ্নের জবাব দেখি এই পোস্ট টিতে। জাজাকাল্লাহ্‌ খায়ের। আজ এই মুহূর্তে আপনি ইসলাম গ্রহণ করলেন কিংবা আপনি জন্মগতভাবেই মুসলিম, এ মুহূর্তে আপনি ইসলামের কোনো বিধান পালন করতে চান, তো আপনাকে আলেম-উলামা বা ইসলাম সম্পর্কে জানেন-এমন ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হবে। আমাদের এই ভূখন্ডে প্রথম দিকে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তারা ঈমান শিখেছিলেন ইসলাম-প্রচারকদের কাছে। এরপর তাদের কাছেই নামায আদায় করতে শিখেছিলেন। আজ এবং অনাগত দিনেও পৃথিবীব্যাপী প্রতিটি নওমুসলিমই ঈমান, অযু-গোসল, হালাল-হারাম, সালাত-যাকাত, সিয়াম-হজ্ব ইত্যাদির প্রথম ধারণা লাভ করবেন তার ইসলাম গ্রহণের প্রথম মাধ্যম ব্যক্তিটির কাছ থেকে এবং বহু কিছু তিনি শিখে নিবেন মুসলিমসমাজের ধর্মীয় কার্যক্রম ও কালচার থেকে। এ বিষয়টি আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারব যদি কল্পনা করি সে সময়টি...

আল্লাহ কোথায় ?

আল্লাহ কোথায় ? এর জবাব  আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান। আমাকে অনেক বার প্রশ্ন করা হয়েছে আল্লাহ কোথায় ? আবার আমি অনেক পোষ্টে দেখিছি আলাহ কোথায় এ নামে । কথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায় প্রচার করে থাকে, আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান নয়। তারা দলিল হিসেবে পেশ করে থাকে সূরা হাদীদের ৩ নং আয়াত। যেখানে ঘোষিত হয়েছে আল্লাহ তায়ালা আরশে সমাসিন। ওরা একটি আয়াত দিয়ে আরো অসংখ্য আয়াতকে অস্বিকার করে নাউজুবিল্লাহ। যেই সকল আয়াত দ্বারা বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান। এক আয়াতকে মানতে গিয়ে আরো ১০/১২টি আয়াত অস্বিকার করার মত দুঃসাহস আসলে কথিত আহলে হাদীস নামী ফিতনাবাজ বাতিল ফিরক্বাদেরই মানায়। অসংখ্য আয়াতে কারীমাকে অস্বিকার করে আল্লাহ তায়ালাকে কেবল আরশে সীমাবদ্ধ করার মত দুঃসাহস ওরা দেখাতে পারলেও আমরা পারি না। আমরা বিশ্বাস করি-আল্লাহ তায়ালা আরশেও আছেন, আছেন জমিনেও, আছেন পূর্বেও। আছেন পশ্চিমেও। আছেন উত্তরেও। আছেন দক্ষিণেও। উপরেও আছেন। নিচেও আছেন। আল্লাহর গোটা রাজত্বের সর্বত্র তার সত্তা বিরাজমান। কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা দেহধারী সত্তার বৈশিষ্ট। আল্লাহ তা...