পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হাদীস শাস্ত্রে ইমাম আবু হানীফা (রহ.)

আজকাল অনেকের মুখেই একটি বিভ্রান্তমূলক কথা শুনা যায়  তা হল ইমাম আবু হানীফা নাকি হাদীস শাস্ত্রে অজ্ঞ ছিলেন!!!!  তারা যে ভুলের মধ্যে আছে তা তাদের জানানোর জন্যই এই কমেন্ট.... 1. ইমাম বোখারীর অন্যতম উস্তাদ মক্কী বিন ইব্রাহীম (রহ.) (মৃতু- 215 হিঃ) যার সনদে ইমাম বুখারী (রহ.) অধিকাংশ ‘সুলাসিয়্যাত হাদীস’ বর্ণনা করেছেন। এই মক্কী বিন ইব্রাহীম (রহ.) ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর ছাত্র। তিনি ইমাম আবু হানীফা (রহ.) সম্পর্কে বলেন, “আবু হানীফা তাঁর সময়কালের শ্রেষ্ঠ আলেম ছিলেন” - মানাক্বেবে ইমাম আজম রহ. 1/95 আবার হাফিয মযযী (রহ.) বলেন: মক্কী বিন ইব্রাহীম ইমাম আবু হানীফা (রহ.) সম্পর্কে বলেন, “তিনি তাঁর কালের সবচে’ বড় আলিম ছিলেন” – তাহ্যীবুত তাহযীব-এর টিকা- 10ম খন্ড, 452পৃ. (এখানে একটি কথা বি শেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে, প্রাচীন আলিমগণ ‘ইলম’ বলতে ‘ইলমে হাদীস’ই বুঝাতেন। তাই ইমাম আবু হানীফা (রহ.) কে বড় আলিম বলার অর্থ- ‘হাদীস শাস্ত্রের বড় আলিম’ এতে কোন সন্দেহ নেই।) 2. ইমাম আবু দাউদ বলেন,  নিঃসন্দেহে আবু হানীফা ছিলেন একজন শেষ্ঠ ইমাম।- তাহজীব 1/445 3. জরহে তাদিলের (সনদ পর্যালোচনা শাস্ত্র) অন...

শিয়ারা যে কারনে কাফের (দলিল প্রমানসহ)

শিয়ারা যে কারনে কাফের (দলিল প্রমানসহ) শিয়াদেরকে রাফেজীও বলা হয়। কারো মতে শিয়া বা রাফেজীরা ২০ দলে বিভক্ত, কারো মতে ৩২ দলে বা শাখায় বিভক্ত। দল যতটাই হোক না কেন, তারা মূলে এক আক্বীদাতেই বিশ্বাসী।তাদের মূল দল হলো- ইছনা আশারিয়াহ শিয়া। খোমেনীসহ বর্তমান ক্ষমতাশীন দল এ ফেরকারই অন্তর্ভূক্ত। নিম্নে শিয়াদের মূল দল ইছ্না আশারিয়া সম্প্রদায়ের কতিপয় জঘণ্য ও কুফরী আক্বীদা তুলে ধরা হলো- # শিয়া ইমাম সম্পর্কে খোমেনীর আক্বীদা আমাদের (শিয়া ইছনা আশারিয়া) মায্হাবের জরুরী আকায়েদের অন্যতম এই যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্তবা ও স্তর অর্জিত আছে, যে মর্তবা বা স্তর কোন নৈকট্যশীল ফেরেশ্তা এবং নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরও নাই। (আল হুকুমাতুল ইসলামিয়াহ, পৃষ্ঠা-৫২) সৃষ্টি জগতের প্রতিটি কণার উপর ইমামগণের আধিপত্য রয়েছে [আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২] # সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সম্পর্কে শিয়াদের আক্বীদা রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওফাতের পর তিনজন ব্যতীত (সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সকলেই মুরতাদ, ধর্মত্যাগী হয়ে যান। (রাবী বলে) আমি ...

তাবলীগ জামাত ও মাঝহাবীদের সামনে আহলে হাদিসদের সমালোচনার আড়ালে কি -০১

(আমার লেখা গুলি অনেক আগের ২০১২-১৩ এর ।আবার পোস্ট করলাম সবাইকে পড়ার আমন্ত্রন ও আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ।) ভুমিকা (আমি এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা অনেকের কাছে সমালোচনা বলে মনে হবে আসলে ইহা কোন সমালোচনা নয় যেঁ ব্যাকটি বা যাহারা করে থাকেন তাদের জবাব স্বরূপ ।আমদের মাঝহাবীদের আত্নরক্ষা মুলক জবাব মাত্র।আর আল্লাহ যদি আমাকে তাউফিক দান করেন তাহলে আমি ইহা অনেক গভীর ও লম্বা আলোচনা করব । আশা করি আপনারা এই অধমের সাথে থাকবেন ।আর কার মনে আঘাত লাগলে তিনারা ঐ সমস্ত ব্যাক্তির বা তাদের সমালোচনা গুলু দেখে তারপর বিবেচনা করবেন যারা আমাদের উপর অভিজুগ করে থাকেন ) বর্তমানে ফেসবুক , ইন্টারনেট ,ব্লগে মুসলিম হয়ে মুসলমান কে যে ভাবে হ্যায়-প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বা হইতেছে তা হল মুসলিম উম্মাহকে বিভ্রান্তি করা ছাড়া আর কিছুই না ।যখন মুসলমানরা ভিবিন্ন স্থানে বা দেশে খৃস্টীয় ইয়াহুদী বিজাতীদের আগ্রাসী হাতে নিস্পশিত লাঞ্চিত মা-বোনদের ইজ্জত আব্রু হরন হচ্ছে অন্যদিকে একদল নামদারী মুসলিম ভিবিন্ন ভিবিন্ন ভাবে মাঝহাব মতবাদের ফিকহি মাসয়ালা মাসায়িলের নামে মুসলিম উম্মাহর মাঝে দলাদলি বারাবারি করতে যা...