পর্যালোচনা ।

                   
বর্তমান পেক্ষাপটে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ ।
হয়ত এই লেখাটা দেখে ভাবছেন আমি কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলছি ! না তা না, আমি বাংলাদেশের একজন সাধারন ইসলাম প্রিয় নাগরিক হিসেবে বলছি ।আজ বাংলাদেশের চলমান রাজনিতির উষ্ণ আভাষ তাতে ভবিষ্যৎ ভাল নয় ।একে অপরের উপর হিন কাদা ছুড়াছুড়ি মাম্লা,মুকাদ্দামা,যুদ্দাপারাধী ভয়ভীতি ,দুরনীতি, গুম হত্যা , ধরপাকড় একধম চরমে । তারপর তথ্যাবদায়ক প্রথা নিয়ে উত্ত্যেযনা বিরাজ করছে প্রধান দুই

রাজনৈতিক দলের মাঝে । এর পরিসমাপ্তি কোথায় ? এর খেসারত কি সাধারন জনগণ বহন করবে ? তার উপর আবার নিত্য প্রয়োজনীয় ধ্রব্য মুল্য আকাশচুম্বী, এ সবের মুলে কি ?আজ বাংলাদেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শুধুই অবনতি । বহিবিশ্বে তেমন কোন জনমত নেই বললেই চলে । তারপর আবার ভিসা বন্দ হয়ে যাচ্ছে একে একে ।এর কোন প্রতিকার নেই? বা তার কোন ফলস্রুতি কোন পথ নেই ? এতে কি দেশের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে না ?
উপরেল্ল্যেক্ষিত সমস্যার মধ্যে থেকে একটি সমস্যা তুলে ধরছি তা হল তথ্যাবদায়ক সরকার প্রথা ।এটা নতুন কোন বিষয় নয়, প্রতিটা সরকারের সময় এই সমস্যা হয় । সবাই চাই তাদের ক্ষমাতা অন্তর্বর্তী কালীন নির্বাচন হউক ।তেমনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল চাচ্ছে তাই ।আর বিরুধীদল তা মেনে নিচ্ছে না , বরং তারা মিছিল মিটিং হরতাল অবরুধ সহ নানান কর্মসূচি দিচ্ছে । এটা কোন ভালফল ?বরং সরকারি দল বিরুধীদলকে ধাবানুর জন্য ধরপাকড় মাম্লা-মুকাদ্দামা হয়রানি ইত্যাদি করছে বা করবে ।এই পৃথিবী তে বহু দেশ আছে যেখানে গণতন্ত্র প্রথা চালু ।সেদিকে একটু নজর দিলে দেখা যায় সেই সব দেশে এসব হচ্ছেনা ।কিন্তু কেন ? কারন তারা দেশ ও জনগণের ভাল চান । তারা করেন নিঃস্বার্থ রাজনীতি দেশের ও দশের জন্যে ।আর আমাদের দেশের রাজনিতিবীধ গন তা কি চান ? মুটেই না!! কারন তাদের রাজনিতি নিজের আখের গুছানুর । তাই দেশে যেই সরকার প্রধান হয় সেই দুর্নীতি করেন ।এতে কি লাভ বা ফায়দা ?বরং আর সমস্যা জটিল-প্রকট হবে ।
আর আলোচনা সে হল মহাকাব্যিক এক অভিযান ।তাতে ফল আসবেনা বরং আর উলটো ফল হবে ।
আমরা ধরে নেই ক্ষমতাসিন দল তারা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করল আর এতে বিরুধীদল গুলি অংশগ্রহন অনিশ্চিত।নিশ্চিত বিজয় ক্ষমতাসিন দলের । আর এটা বিরুধীদল প্রত্যাখান করবে ।দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসার পূর্বেই আন্দলনে রাজ পথ উত্তপ্ত ।এক রক্তক্ষ্যী সংঘর্ষ ধরপাকড় খুন হত্যা হয়রানী মামলা মুকাদ্দামা ইত্যাদি হবে । আর নিরবাচিত দল ক্ষমতায় থাকতে চাইবে আর এদিকে বিরুধীরা ক্ষমতা থেকে নামানুর নানান কর্মসূচি ।একে একে ধ্বংস হবে দেশের আইন শৃঙ্খলা অর্থনৈতিক অবস্থা ।ধস নামবে দেশে। প্ররিস্থিতি সামাল দেওয়া দুষ্কর ।আর এই দিকে দাতা দেশ গুলির মাথা ব্যাথা শুরু হবে । তারা একটা অজুহাত দিয়ে আমাদের দেশে তাদের অনুপ্রবেশ ঘটাবে । তার মধ্যে আমেরিকা এক নম্বরে ।আল্লাহ না করুণ বাংলাদেশে যদি মার্কিন সৈন্যের আগমন হয় তাহলে সেই সব দেশের মত আমাদের হবে যেখানে তাদের অনুপ্রবেশ হয়েছে ।আপনারা নজর দেন ইরাক আফগানিস্থান লিবিয়ার দিকে তাদের অবস্থা কি ?আমরা এখন আল্লাহর ইবাদাত নাম নিতে পারছি তখন তা আর হয়ত সম্ভব হবেনা । তাদের হাতের পুতুল সরকার বসাবে এদেশে ।আর এরকম অবস্থায় থেকে যেন আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুণ ।
তাই বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল গুলু কে আহবান করব আপনারা আপনাদের এই হীন মান্য রাজনিতি ছাড়ুন আমদের জনগণের কথা একটু ভাবুন । আমরা মোসলমান ৯৫% আর এখানে বিজাতি ইয়াহুদি খৃস্টানদের আগমন থেকে মুসলিমদের কে রক্ষা করুণ ।আলোচনা করুণ একপক্ষ ছাড় দেন বৃহত্তম স্বার্থে । ক্ষমতাসীন দলকে বলব যে দেশটা আপনারা স্বাধীন করেছেন । আপনদের ত দেশের প্রতি অনেক মায়া ।তাহলে আপনাদের এমন করাটা কি দেশের খুব ভালবাসার প্রকাশ ? তাই বলব হিংসাত্তক রাজনিতি পরিহার করে দেশ ও দশের চিন্তা করুণ ।আর অমুসলিমদের জুলুম থেকে আমাদের উদ্দার করুণ ।আপনারা হক হন আল্লাহ আপনাদের বিজয় নিশ্চিত করবেন ।আর বিরুধীদলকে বলব আপনারা একটু ভাবুন আমদের কথা ।আলচনায় আসুন ।দুদল বসে নির্ধারণ সমজতা করুণ ।আমাদের মুসলিমজাতিকে রক্ষা করুণ ।সবাই বিদ্বেষী রাজনিতি পরিহার করে সুস্থ রাজনিতি করুণ ।আল্লাহ আমদের সবাইকে বুঝার তাউফিক দেন ।আমীন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হক্কানী উলামায়ে কেরাম পীরমাশায়ীখ দের ও আহলে সুন্নাত অয়াল জামাত এর উপর মিথ্যারুপ ভণ্ডামির জবাব

তথাকথিত আহলে হাদীসদের ভন্ডামী

আখেরী মুনাজাত ও অন্যান্য দু'আ মনির হুসাইনের বিশ্ব ইজতেমা বিরুধী পোস্টের জবাব ০১