সাইবার আক্রমন
সাইবার আক্রমন ।
__________________________ __________________________ ___
গত কয়েক বছরে দেশ তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন সারাবিশ্ব হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের সাহায্যে এ যুগের তরুণ-তরুণীরা এখন যেনো বিশ্বনাগরিক। তবে প্রতিটি জিনিসের ভালো ও খারাপ দুটি দিকই রয়েছে। বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে সাইবার অপরাধ যেনো মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। ইন্টারনেটের অপব্যবহারের
__________________________
গত কয়েক বছরে দেশ তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন সারাবিশ্ব হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের সাহায্যে এ যুগের তরুণ-তরুণীরা এখন যেনো বিশ্বনাগরিক। তবে প্রতিটি জিনিসের ভালো ও খারাপ দুটি দিকই রয়েছে। বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে সাইবার অপরাধ যেনো মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। ইন্টারনেটের অপব্যবহারের
শিকার
হচ্ছেন অনেকেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেভাবে ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজি
চলছে তা শুধু তরুণ-তরুণীদের জীবনই বিপন্ন করছে না; তা একই সঙ্গে সামাজিক
মূল্যবোধও বিনষ্ট করছে। কয়েক বছর আগে কিছু সুনির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ও পেজ
বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু জনগণের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত সচেতনতা না
গড়ে ওঠা পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যকর কিছু করা সম্ভব নয়। এছাড়া এই সাইট ও
পেজগুলোর একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রিত হয় বিদেশ থেকে। দেশের ভেতর থেকেও পর্নো
ছবি লোড করা হচ্ছে। সবমিলে এগুলো নিঃসন্দেহে ভয়াবহ অপরাধ। তবে এ কথা
অস্বীকার করা যাবে না, প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও বিকাশ দেশের সিংহভাগ মানুষকে
যেমন আলোর জগতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে; তেমনই একটি শ্রেণীকে অপকর্মের পঙ্কিলতায়
ডুবিয়ে দিচ্ছে। কম্পিউটার প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তারা নানাবিধ অপকর্মে
যুক্ত হচ্ছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজে। কয়েক মাস আগে প্রকাশিত এক
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কিছু সংখ্যক তরুণ কিংবা যুবক কীভাবে
প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট অপরাধে জড়য়ে পরিবেশ পরিস্থিতি বিষিয়ে তুলছে; এই মেধাবী
তরুণরা অনাকাক্সিক্ষতভাবে সমাজের শত্র“ হয়ে দাঁড়য়েছে।
ফেসবুক, টুইটার কিংবা অন্য প্রযুক্তিগত মাধ্যমে যোগাযোগের বন্ধন সুদঢ় করে বিশ্বে যেখানে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে; সেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বিপরীত পরিস্থিতিও দেখা যাচ্ছে।
তবে এ কথা সবার মনে দরকার, সাইবার অপরাধীকে শাস্তি দেবার নামে ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত হবে না। সভ্যতার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের সব মানুষ এক হওয়ার সুযোগ পেয়েছে তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলার একটি ফোরাম হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারে সুযোগ পেয়েছে। লক্ষ্য রাখতে হবে, ইন্টারনেটবিষয়ক যে কোনো আইন যেনো সঠিক অর্থেই ব্যবহৃত হয় ।
ফেসবুক, টুইটার কিংবা অন্য প্রযুক্তিগত মাধ্যমে যোগাযোগের বন্ধন সুদঢ় করে বিশ্বে যেখানে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে; সেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বিপরীত পরিস্থিতিও দেখা যাচ্ছে।
তবে এ কথা সবার মনে দরকার, সাইবার অপরাধীকে শাস্তি দেবার নামে ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত হবে না। সভ্যতার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের সব মানুষ এক হওয়ার সুযোগ পেয়েছে তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলার একটি ফোরাম হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারে সুযোগ পেয়েছে। লক্ষ্য রাখতে হবে, ইন্টারনেটবিষয়ক যে কোনো আইন যেনো সঠিক অর্থেই ব্যবহৃত হয় ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন