মতিউররহমান আল মাদানির মিথ্যা অপবাদের জবাব ।

দেওবন্দি ওলামায়ে কেরাম সম্পর্কে মতিউররহমান আল মাদানির মিথ্যা অপবাদের জবাব ।
_______________________________________________________

মতিউররহমান আল মাদানী সাহেব ভাল একজন বক্তা । তিনি আহলে হাদিস নামধারী একটি দলের পক্ষে প্রচারণা চালান ইন্টারনেটে।যত দূর জানা যায় তিনি এক জন ভারতীয় বাঙ্গালী।[যদিও তিনি তার বক্তব্যে আমাদের দেশের আলেম সমাজ বলে বাংলাদেশী আলেম সমাজকেই বুঝিয়ে থাকেন]। সম্প্রতি তার কিছু বক্তব্য

আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে যেখানে তিনি দেওবন্দি আলেম সমাজের বিরুদ্ধে শিরক আর কুফরের মত মারত্মক কিছু অপবাদ দিয়েছেন যা সমপূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আজকের নিবন্ধে তার অনেক গুলি মিথ্যা অপবাদের মধ্য থেকে শুধু একটি অপবাদের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করব বাকি গুলোও পরবর্তিতে আলোচনার আশা রাখি। আল্লাহ তা’লা সাহায্য কারি।



তিনি তার একটি বক্তব্যে উপমহাদেশের যে সমস্ত আলেমগণ সারা জীবন কুফর আর শিরকের বিরুদ্ধে লড়ায় করেছেন যারা সারা জীবন কোরান হাদিসের গবেষণায় অতিবাহিত করেছেন সেই সব বড় বড় আলেমদেরকে কাফের আর মুশরিক বলেছেন। তিনি নাম ধরে ধরে বলেছেন হযরত মাওলানা হাফেজ এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী, হযরত মাওলানা কাছেম নানুতবী, মাওলানা রশিদ আহমদ গুঙ্গুহী, মাওলানা আশরাফ আলী থানবী, মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী, শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানি, মুফতিয়ে আজম মাওলানা মুহাম্মদ শফি [রাহিমাহুমুল্লাহু আলাইহিম আজমায়ীন] সহ আরো অনেক আলেম নাকি কুফরি এবং শিরকি আকিদা পোষণ করতেন।



মতিউররহমান সাহেব আরো বলেন দেওবন্দি ওলামায়ে কেরাম এমন আকিদা পোষণ করতেন যে যেকোনোও বস্তুর এবাদাত করলে সেটা আল্লাহর ইবাদাত হয়ে যাবে। গাছের ইবাদাত বাঁশের ইবাদাত সুর্যের ইবাদাত বা কোনো প্রানীর ইবাদাত এমন কি লিংগ পুজাঁ করলেও সেটা আল্লার ইবাদাত হবে বলে মনে করতেন দেওবন্দি ওলামায়ে কেরাম [নাউজুবিল্লাহ]।



মতিউররহমান সাহেব তার এই মিথ্যা কথার পক্ষে প্রমাণ দিতে গিয়ে উল্লেখিত ওলামাদের মধ্যে এক আলেমের লিখিত একটি বইয়ের নাম বলেছেন। কিন্তু সেই বইয়ে কি লেখা আছে তা তিনি পড়ে শুনান নি। শুধু বলেছেন যে “এই বইয়ে ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ নামে একটি আকিদা আছে”। কিন্তু তার বিস্তারিতও তিনি পড়ে শুনান নি বরং ওয়াহদাতুল ওয়াজুদের মন গড়া একটা ব্যাখ্যা তিনি বলেছেন আর সেটা উল্লেখিত ওলামায়ে কেরামের আকিদা বলে চালিয়ে দিয়েছেন।



ইউটিউবে তিনি ১ থেকে ৯ টি পার্টে তার কথা গুলি বলেছেন । এর প্রথম পর্ব দেখা যাবে এই লিঙ্কে। http://www.youtube.com/watch?v=I47r0A0jnhg বাকি গুলোও দেখা যাবে লিঙ্কের শেষের দিকে যেখানে part 1 লেখা আছে সেখানে part 2 part 3 এভাবে লিখলে।

মতিউররহমান সাহেব ওয়াহদাতুল ওয়াজুদের যে ব্যাখ্যা দিলেন তা এরকম “সমস্ত পৃথিবীতে যত জিনিস আছে মানুষ, জীন, পশু, পাখি সব কিছুই আল্লাহ আর এ আকিদা পোষণ করতেন উল্লেখিত ওলামায়ে কেরাম”। [নাউজু বিল্লাহ]



ওয়াহদাতুল ওয়াজুদের অর্থ যদি হয় সব কিছুকেই আল্লাহ মনে করা তাহলে সেটা কুফরি আকিদা তাতে কারো দ্বিমত নাই থাকতে পারে না। কিন্তু ওয়াহদাতুল ওয়াজুদের আসল ব্যাখ্যা কি ? যেটা মতিউররহমান সাহেব বললেন সেটা কি ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ এর আসল অর্থ? তিনি কি উল্লেখিত ওলামায়ে কেরামদের মধ্য থেকে কারো সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন যে ওয়াহদাতুল ওয়াজুদের অর্থ তারা এই মনে করতেন? নাকি উনাদের লিখিত কিতাব বুঝার মত ক্ষমতা আল্লাহ তালা মতিউররহমান সাহেবকে দেন নি?



যে সব ওলামায়ে কেরাম তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন কোরান হাদিসের গবেষণায় এবং যারা সারা জীবন শিরক আর কুফরির বিরুদ্ধে লড়ায় করেছেন তারা এরকম কুফরি আর শিরকি আকিদা পোষণ করতে পারেন সেটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। তাহলে দেখা যাক ওয়াহদাতুল ওয়াজুদের আসল অর্থ কি । তবেই বুঝা যাবে যে আক্বীদাটা কুফরি কিনা। আসল অর্থটা আমি একটু পরেই বলব ইনশা আল্লাহ। তার আগে একটা কথা বলে রাখি। সব কিছু সবাই বুঝে না। আর সব কিছু বুঝা সবার জন্য জরুরীও নয়। কিন্তু জ্ঞানী মানুষেরা এই কথাটি সহজে স্বীকার করলেও মূর্খ মানুষেরা মনে করে সব কিছু সে বুঝে বা বুঝার ক্ষমতা রাখে। তাকে যদি বলা হয় এই ব্যাপারটা আপনি বুঝবেন না, তখন সে বলবে বুঝিয়ে দিলে কি আবার না বুঝে থাকে। অর্থাৎ সে মনে করছে আপনি তাকে বুঝাতে পারছেন না। সেটা আপনার সমস্যা, কিন্তু সে আসলেই এটা বুঝবে না তা সে কিছুতেই মানতে রাজি নয়।



এর প্রমাণ হিসেবে একটি ঘটনা বলি। আরবি বা ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত নয় এমন একজন মানুষ হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর কাছে এসে এমন একটি প্রশ্ন করলেন যা বুঝতে হলে আরবী বা ইসলামী শিক্ষা থাকা দরকার। তার প্রশ্ন শুনে থানবী রহঃ বললেন আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আছে কিন্তু আপনি সেটা বুঝবেন না। লোকটি বলল আপনি বুঝিয়ে দিলে আমি বুঝব। থানবী রহঃ বললেন আমি বুঝিয়ে দিলেও আপনি তা বুঝবেন না। লোকটি বলল আপনি চেষ্টা করেতো দেখতে পারেন। থানবী রহঃ বললেন নষ্ট করার মত সময় আমার হাতে নাই। তবে সব কিছু সবাই যে বুঝে না সেটা আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার মনে করছি। তাই একটা কাজ করুন ঐ যে দেখছেন এক জন আলেম মক্তবে ছাত্রদের পড়াচ্ছেন ওনাকে ডেকে আমার কাছে আনবেন আর তার সামনে আপনি আপনার প্রশ্নটা করবেন। তখন আমি আপনারা দু জনের সামনেই আপনার প্রশ্নের জবাব দেব। জবাব দেওয়া শেষ হলে আপনারা দুজনকেই আমি বলব যা বলেছি তা হাজিরা দিতে। আমার বিশ্বাস উনি হাজিরা দিতে পারবেন কিন্তু আপনি পারবেন না।



কথা মত লোকটি সেই আলেমকে ডেকে আনলেন এবং প্রশ্ন করলেন । থানবী রহঃ উত্তর দিলেন । পরে দেখা গেল আলেম ব্যাক্তি হাজিরা দিতে পারলেন কিন্তু প্রশ্নকারী হাজিরা দিতে পারলেন না এমন কি কিছুই বুঝলেন না। পরে তিনি তার ভুল স্বীকার করলেন।



এই ঘটনা বলার উদ্দেশ্য এই যে ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ এর অর্থ সবাই হয়ত বুঝবে না। কারণ ওয়াদাতুল ওয়াজুদ হল একটি হাল বা অবস্থা, যা সেই ব্যাক্তিই শুধু উপলব্দি করতে পারেন যে ব্যাক্তি আত্মশুদ্ধি করেছেন এবং আল্লাহ তালার মুহাব্বাত তার অন্তরে এতই প্রবল যে এই মুহাব্বাতের সামনে দুনিয়ার সব কিছু তার কাছে তুচ্ছজ্ঞান হয়। তারপরেও বিষয়টা শরিয়তের বাইরে নয় এবং তা বুঝা সবার জন্য জরুরী নয়।



এখন কেও হয়ত ভাবতে পারেন শরিয়তে এমন কিছু আমল আছে নাকি যা এক জনের জন্য জরুরী হবে আরেক জনের জন্য জরুরী হবে না? এর উত্তর হচ্ছে সব কিছু শরিয়ত মতে হতে হবে শরিয়তের বাইরে কিছুই গ্রহণযোগ্য নয় তা ঠিক আছে কিন্তু কিছু কাজ আছে যা সবার জন্য ফরজ যেমন নামজ পড়া আবার কিছু কাজ আছে যা সমার জন্য ফরজ নয় যেমন যাকাত দেওয়। । তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেক বিষয়ের নিজস্ব কিছু জরুরী কাজ থাকে যা অন্য বিষয়ের জন্য জরুরী নয়। যেমন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর মাস্টারি প্রত্যেকটা আলাদা বিষয়। ডাক্তারি হোক বা ইঞ্জিনিয়ারিং হোক সব কিছু শরিয়ত মত করতে হবে তা ঠিক আছে, কিন্তু ডাক্তারি বিষয়ের জন্য যে কাজ গুলি অতি জরুরী তা কিন্তু মাষ্টারের জন্য জরুরী নয়। আবার ইঞ্জিনিয়ারের জন্য যে কাজটা অতি জরুরী তা ডাক্তারের জন্য জরুরী নয়।



এবার আসি ওয়াহদাতুল ওয়াজুদের মূল বিষয়টি শরিয়ত এর সীমার ভিতরে আছে কিনা তা দেখতে । হ্যাঁ অবশ্যই আছে । কি ভাবে আছে তা দেখার জন্য যেতে হবে তাঁদের কাছে যারা ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ এর বিশ্বাসের কারণে শাইখ মতিউররহমানের কথায় ‘কাফের হয়ে গেছেন’ সেই সব ওলামায়ে কেরামের কাছে। তারা ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ বলতে কি বুঝতেন?

এখানে আমি থানভী(রহ) এর তালিমুদ্দীন কিতাবের দ্বিতীয় খণ্ড হতে সেই অংশটুকু তুলে ধরছি যেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে ‘ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ’ কে ব্যাখ্যা করেছেন:



ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ

একথা সুস্পষ্ট যে, যাবতীয় গুণাবলি এবং ক্ষমতা প্রকৃত প্রস্তাবে একমাত্র আল্লাহ তা’লার। সৃষ্টজীবদের ভেতর যা কিছু ক্ষমতা বা গুণ পরিদৃষ্ট হয়, তা তাদের নিজস্ব নয়, অন্যের নিকট হতে ধার করা। অর্থাৎ আল্লাহ তা’লা দান করেছেন বলে তারা পেয়েছে এবং পুন: তিনি রক্ষা করছেন বলে বিদ্যমান আছে। যে জিনিসের আস্তিত্ব এরূপ ধার করা অর্থাৎ নিজস্ব নয়, অন্যের নিকট হতে পাওয়া গেছে, তার অস্তিত্বকে পরিভাষায় ‘অজুদে-যিল্লি’ বা ‘অযুদে আরেযী’ বলে। যিল্লি অর্থ ছায়া। অর্থাৎ ছায়াবৎ অস্থায়ী ও পরমুখাপেক্ষী অজুদ। কিন্তু এখানে ছায়ার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ পাক কোন শরীর বিশিষ্ট জীব, আমরা তাঁর ছায়া স্বরূপ। যিল্লির অর্থ ছায়া বটে, কিন্তু এই স্থানে এইরূপ অর্থ গ্রহণ করা সম্পূর্ণ ভুল। এখানকার অর্থ এই যে, তাঁর দানে এবং কৃপায় আমরা অজুদ(অস্তিত্ব) পেয়েছি। তাঁর অনুগ্রহে বর্তমান আছি, ভবিষ্যতেও তিনি ইচ্ছা করলে রাখতে পারেন বা যখন ইচ্ছা করেন বিনা ক্লেশে কাল বিলম্ব না করে ধ্বংস করে দিতে পারেন। যেমন, আমাদের ভাষায়ও সচরাচর বলা হয় যে, কোন গরিব লোক হয়ত কোন ধনীর আশ্রয়ে বাস করে। সে বলে, “আমি তো হুজুরেই ছায়ায় বাস করি”। এর অর্থ ছায়া নয় বরং আশ্রয়। যখন মাখলুখের এই আরেযী অজুদকে হিসেবে না ধরা হয়, তখন একমাত্র আল্লাহরই অজুদ (আস্তিত্ব) থাকে। একেই ওয়াহদাতুল অজুদ বা ‘হামা-উস্ত’ (তিনিই সব) বা লা-মওজুদা ইল্লাল্লাহ ( আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো অস্তিত্ব নাই) বলে। অতএব, ‘তিনিই সব’ এর অর্থ এই নয় যে, মানুষ, পশু, বৃক্ষ, পর্বত সবই খোদা বা খোদার বিশ্লেষণ ও অংশ বের হয়ে এইসব হয়েছে।(নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)। এই অর্থ সম্পূর্ণ ভুল। এই অর্থ নিয়েই অনেক লোক কাফির ও বুতপরস্ত হয়ে গেছে। শুদ্ধ অর্থ এই যে, মানুষ, পশু, পর্বত ইত্যাদির অস্তিত্ব আসল নিজস্ব অস্তিত্ব নয়, আল্লাহর দান করা অস্থায়ী অস্তিত্ব মাত্র।



উপরিউক্ত ব্যাখ্যাতে হযুরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহঃ স্পষ্ট করে বলেছেন যে “এর অর্থ এই নয় যে, মানুষ, পশু, বৃক্ষ, পর্বত সবই খোদা বা খোদার বিশ্লেষণ ও অংশ বের হয়ে এইসব হয়েছে।(নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)। এই অর্থ সম্পূর্ণ ভুল। এই অর্থ নিয়েই অনেক লোক কাফির ও বুতপরস্ত হয়ে গেছে। শুদ্ধ অর্থ এই যে, মানুষ, পশু, পর্বত ইত্যাদির অস্তিত্ব আসল নিজস্ব অস্তিত্ব নয়, আল্লাহর দান করা অস্থায়ী অস্তিত্ব মাত্র”। তারপরেও মতিউররহমান সাহেব কেন তাদেরকে জোর করে কাফের বানানোর জন্য সেই উদ্ভট অর্থটা করলেন যা করতে তারা স্পষ্ট নিষেধ করেছেন আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি কি ইচ্ছে করেই এই মিথ্যা অপবাদটা দিলেন তাদেরকে? আমরা মনে করব তিনি ভুল করেই করেছেন এবং ইউটিউবে তার বক্তৃতায় তিনি সংশোধনী আনবেন বা তা মুছে দিবেন।



তিনি যদি ইচ্ছে করেই করে থাকেন তাহলে কোরানের দুটি আয়াত তাকে স্মরণ করিয়ে দেব। হয়ত এটা তার হেদায়েতের জন্য উছিলা হতে পারে।

وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ তোমরা মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাক; সুরা হজ্জ =৩০

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّـهَ ۚ إِنَّ اللَّـهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ ﴿١٢﴾

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুত: তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। [৪৯:১২

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হক্কানী উলামায়ে কেরাম পীরমাশায়ীখ দের ও আহলে সুন্নাত অয়াল জামাত এর উপর মিথ্যারুপ ভণ্ডামির জবাব

তথাকথিত আহলে হাদীসদের ভন্ডামী

আখেরী মুনাজাত ও অন্যান্য দু'আ মনির হুসাইনের বিশ্ব ইজতেমা বিরুধী পোস্টের জবাব ০১